কটন এবং সিল্ক ফাইবারের বৈশিষ্ট্য
ইতিহাস এবং গবেষনার ফলাফল অনুযায়ী ৩৫০০ বছর পূর্বে ভারত উপমহাদেশে প্রথম কটন ফাইবারের সন্ধান পাওয়া যায়।এরপর তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীতে। আমেরিকা এবং দক্ষিন আমেরিকায় খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ এবং ৩৫০০ বছর আগেও তুলার চাষ প্রচলিত ছিলো।
গবেষকদেরমতে , কটন এর ব্যবহার শুরু হয়েছিলো ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল আরব দেশগুলোতে। মিশর ছিলো তাদের অন্যতম। বিশ্বের অনেক উন্নতশীল দেশ কটন ব্যবহার শুরু করেছিলো এর আবিষ্কার হওয়ার হাজার বছরের পর।বিশ্বে ৭৫-৭৬ টি দেশে কটন উৎপাদন হয় তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০তম ।সুদীর্ঘ প্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশে কটন উৎপাদিত হয়ে আসছে কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় এর দৈর্ঘ্য ছিলো কম যা পোশাক তৈরীতে বানিজ্যিকভাবে ব্যবহার হত না ।কুমিল্লা ও চট্রগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের কিছু জায়গায় কটন উৎপাদন হয়।
কটন ফাইবারের বৈশিষ্ট্য ঃ
কটনকে বলা হয় ফাইবারের রাজা।
কটন ফাইবার অন্যান্য ফাইবারের তুলনায় সফট।
কটন ফাইবার গসিপিয়াম জেনাসের অন্তর্ভুক্ত।
রঙ এর ধারন ক্ষমতা অনেক বেশী।
কম সময়ের মধ্যে পানি শোষন ক্ষমতা অনেক বেশী।
কটন দিয়ে তৈরী পোশাক অনেক আরামদায়ক এবং সফট হয়।
চীনকে সিল্ক বা রেশম এর জনক বলা হয় আর সিল্ক বা রেশমকে বলা হয় ফাইবারের রানী।অনেক বছর পর্যন্ত চীন তাদের আবিষ্কৃত সিল্কের উৎপাদন কৌশল গোপন রেখেছিলো এবং এটি তাদের রাজার পোশাকের জন্য সংরক্ষিত ছিলো। এরপর এটি ধনীরশ্রেণীরে এবং বিত্তবানদের পোশাকের জন্য ব্যবহার হওয়া শুরু করে।মিশরের একটি মমির চুলে পাওয়া রেশম থেকে এর বানিজ্যিক ব্যবহারের প্রথম প্রমান পাওয়া যায়।মূলত রেশম পোকার লাভার গুটি থেকে সিল্ক সুতা সংগ্রহ করা হয়।বাংলাদেশে বহু অঞ্চলে রেশম পোকার চাষ হয়ে থাকে।তুঁত গাছের জন্মানো সম্ভাব্য স্থানের উপর নির্ভর করে রেশম পোকার চাষ করা হয়।বাংলাদেশের যে কোন আবাহাওয়ায় রেশমকীট চাষ করা যায়।বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী রেশম চাষ হয় চাঁপাইনবাবঞ্জে এছাড়াও সিলেট , ময়মনসিংহ , টাঙ্গাইল এবং রংপুরেও রেশম পোকার চাষ করা হয়।
সিল্ক ফাইবারের বৈশিষ্ট্য ঃ
একটি প্রোটিন ফাইবার।
ধূসর , হলুদ , বাদামী রঙ এর হয়।
সিল্ক অনেক মসৃণ ফাইবার।
এই ফাইবার অনেক দৃঢ়।
সহজে পানি শোষন করে।
সিল্ক ফাইবার নরম হয়।
কোন মন্তব্য নেই