মেইড ইন বাংলাদেশ” এই ট্যাগ লাইনটি হউক বাংলাদেশের গর্ব
লাখো কোটি শ্রমিকের পরিশ্রমের পণ্য যখন বিভিন্ন দেশের রাজ পরিবার
থেকে শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাস্প এবং বিশ্বের জনসাধারনের গায়ে ঠায় পায় তখন এর পেছনের
কারিগরদের সফলতা এবং দক্ষতার যে মিশেল তা সত্যিই বাংলাদেশকে গর্বিত করে ।
সম্প্রতি ব্রিটিশ রাজ পরিবারের দুই সদস্য ডাচেস কেট এবং তার স্বামী প্রিন্স উইলিয়ম বাংলাদেশে তৈরীকৃত পোশাক পরিহিত অবস্থায় জনস্মুখে এসেছিলেন মূলত ডাচেস কেট এর পরিধান করা প্যান্ট টি বাংলাদেশের একটি কারখানায় প্রস্ততকৃত আর ডাচেস কেট হচ্ছেন ফ্যাশন সচেতন নারী হিসেবে বেশ পরিচিত যাকে অনুসরন করে বিশ্বের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ কেট এর পোশাক ডিজাইনকারীরাও বেশ সমাদৃত।
বাংলাদেশের পোশাক কর্মীদের অগ্রযাত্রায় তাদের দক্ষতার সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে পৃথিবীজুড়ে এবং তার পাশাপাশি ব্রান্ডিং হচ্ছে বাংলাদেশের।বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ লক্ষনীয় বিশ্ববাজারে যার বৃহৎ বাজারটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে প্রস্তুতকৃত পোশাক রপ্তানি করা হয় ইউরোপিয়ান আরো অন্যান্য দেশে, বিশেষ করে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড, স্পেন সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশে , এছাড়া নন-ট্র্যাডিশনাল বাজার হল অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, জাপান সহ আরো কয়েকটি দেশে তৈরী পোশাক রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে বছরে পোশাক রপ্তানী হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার এবং পোশাক রপ্তানী কারখানার সংখ্যা ৯ হাজার ৪৬৪ টি ।
![]() |
ছবিঃ সংগৃহীত |
বাংলাদেশের তৈরী পোশাকশিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে প্রথমসারিতে এবং এই শিল্পের যাত্রা শুরু হয় সেই ১৯৭৬ এ টেইলরিং পেশা থেকে রপ্তানীখাতে পোশাকশিল্পে নাম লিখানো রিয়াজ সাহেবের রিয়াজ গার্মেন্টস এর হাত ধরে যেটি ছিলো ঢাকার উর্দূ রোডে এর পরে গিয়ে ৮০’ সনের দিকে গিয়ে বাংলাদেশ সরকার এই শিল্পে ঋণের প্রণোদনা দেওয়া শুরু করে তারপর থেকে ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার বিভিন্নভাবে আর্থিক , কৌশলগতদিক , দক্ষকর্মী তৈরী , সল্প মূল্যে জমি বা প্লট বরাদ্দ , ইনসেনটিভ , মানবসম্পদ উন্নয়ন ও বিভিন্ন জেলায় ইকোনমিক জোন থেকে শুরু করে দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
এর মধ্যে থেকে যদি আমরা বর্তমান সরকারের এই শিল্পের উন্নয়নের জন্য দক্ষকর্মী তৈরীতে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের কথা বলতে যায় তার মধ্যে স্টেপ , সেইপ , স্কিল-২১ অন্যতম। এই প্রকল্পের গুলোর মাধ্যমে সরকার বিনামূল্যে মার্চেন্ডাইজিং , হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট , সোস্যাল কমপ্লায়ন্স , কোয়লিটি কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট , ইন্ডাষ্ট্রীয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং , এসএমও , প্যাটার্ন ড্রইং ইত্যাদি যাতায়াত ভাতাসহ প্রদান করে থাকেন কারন, সরকারের একটাই উদ্দেশ্য পোশাকশিল্প টিকিয়ে রাখতে হলে এবং দেশে কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করতে হলে এবং বিশ্বে বাংলাদেশী ব্রান্ডকে শক্তিশালী অবস্থানে নিতে হলে দক্ষ কর্মী তৈরীর বিকল্প নেই । বাংলাদেশের বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে উচ্চ পদে উচ্চ বেতনে কাজ করেন বহুু বিদেশী যা সরকারের দৃষ্টিকটু লেগেছে কারন সঠিক দক্ষতা অর্জন করানোর মাধ্যমেআমাদেরদেশের ছেলে-মেয়েরাও তাদের চেয়েও বেশী কর্মে,সৃজনশীলতায় আরোবেশী কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হবে এবং দেশের টাকা দেশেই থাকবে জিডিপির লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে। এজন্য সরকার ট্রেনিং শেষে তাদের জবের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই