কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট এর নীতি গুলো কী কী?
কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট নীতি গুলো কী কী?
১/ কাস্টমার রিকোয়ারমেন্ট/ কাস্টমার ফোকাস বা চাহিদাঃ কাস্টমার এর চাহিদা বুঝা এবং পূরণ করা । পণ্যের মান বৃদ্ধি করা এবং পাশাপাশি কাস্টমারের সন্তুষ্টি অর্জন করা,এতে করে বিজনেস এর পরিধি বৃদ্ধি পাবে এবং ফ্যাক্টরি এর সুনাম বৃদ্ধি পাবে ।
২ / লিডারশিপ বা নেতৃত্বঃ নেতৃত্বে একটি বড় বিষয় সংগঠনের মধ্যে কারণ সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে ফ্যাক্টরি বা কারখানা এগিয়ে যাবে এবং সংগঠনের সমস্ত কর্মীদের মধ্যে যেন মনে হয় যে তাদের একজন নেতা রয়েছে যিনি সংগঠনটি কে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং তাকে তারা অনুসরণ করতে পারবেন ।একজন নেতৃত্ব দানকারী সমস্ত কর্মীদের মধ্যে কর্ম চাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে পারে এবং এতে করে বায়ার চাহিদা বা রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করতে সহায়ক হয় কারণ একজন দক্ষ নেতৃত্ব দানকারী বুঝতে পারেন যে তার কর্মীদের চাওয়া পাওয়া এবং কিভাবে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তার কৌশল।
৩/ এঙ্গেজমেন্ট অব পিপল বা মানুষের বা অন্য মাধ্যম এর সাথে ব্যস্ততাঃ যে কোন সংগঠনকে দক্ষতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সকল ডিপার্টমেন্ট, সাপ্লায়ার, থার্ড পার্টি, ভেন্ডর,কাস্টমার সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে কাজ করে যেতে হবে ।একে অন্যের সাথে মিলে কাজ করলে কাস্টমারের চাহিদা পূরণ করতে সহজ হয় এবং কাস্টমারের সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষমতা লাভ করা যায় ।টিমওয়ার্ক অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে তার জন্য যে কোন কোম্পানির উচিত একে অন্যের সাথে মিলেমিশে কাজ করা।
৪/ প্রসেস অ্যাপ্রোচ বা পদ্ধতিগত প্রক্রিয়াঃ যেকোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমে অনেকগুলো প্রসেস থাকে বা থাকবে যেগুলো আন্তঃসম্পর্ক এবং যা একে অন্যের সাথে যোগাযোগ সম্পর্কীয় ।এটা বোঝা খুবই জরুরী যে এই ধরনের প্রসেস গুলো কিভাবে একে অন্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং একটির সাথে আরেকটি এর কিরকম প্রভাব বিস্তার করে। যত সহজে অরগানাইজেশন বা সংগঠন পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া বুঝতে পারবে সে সংগঠনটি তত সহজে তাদের প্রসেস গুলোকে কন্ট্রোলে আনতে পারবে।এতে করে কাস্টমার এর চাহিদা অর্জিত হয় খুব সহজে এবং পরিশেষে এর ফলাফল ভালো পাওয়া যায়।
৫/ ইমপ্রুভমেন্ট বা উন্নতিঃ ইমপ্রুভমেন্ট হল যে কোন কোম্পানীর জন্য একটি চলমান প্রক্রিয়া।যে কোন কোম্পানির উন্নতির যে মাপকাঠি তা প্রতিনিয়ত ফলোআপে রাখা উচিত এবং ভবিষ্যতে কিভাবে আরো ভালো করা যায় সে ব্যাপারে মনোনিবেশ করা উচিত এতে করে কোম্পানির উন্নতি সাধন হবে এবং কর্মী বান্ধব একটি পরিবেশ সৃষ্টি হবে ।একটি কোম্পানির উন্নতি চলমান থাকা জরুরি এ কারণে যে, বাজারে তার নিকটতম অনেক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে তাদের সাথে টিকে থাকতে হলে ইমপ্রুভমেন্ট অবশ্যই একটি অতীব জরুরী বিষয়।
৬/ এভিডেন্স বেসড ডিসিশন মেকিং বা প্রমাণ ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ আলোচনা ও তথ্য এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। কারণ যে কোন কাজ করতে গেলে তার ফলাফল কি ধরনের হতে পারে তার কোনো পূর্ব জ্ঞান সকলের থাকে না এইজন্যই এভিডেন্স এবং ডাটা সংগ্রহের মাধ্যমে আমাদের যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সিদ্ধান্তটি সঠিক কিনা।যেকোনো কাস্টমার বায়ার বা থার্ড পার্টি সম্পর্কে আমাদের যদি কোন ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাহলে আমাদের টপ ম্যানেজমেন্ট এর নিকট তথ্যবহুল ডাটা থাকা বাঞ্ছনীয় এতে করে কোম্পানি ক্ষতির সম্মুখিন থেকে রক্ষা পেতে পারে।
৭/ রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট বা ব্যবস্থাপকীয় সম্পর্কঃ যে কোন কোম্পানির এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে যতগুলো ভেন্ডর বা থার্ড পার্টি এবং সাপ্লায়ার আছে তাদের সাথে একটি ভালো বোঝাপড়ার সম্পর্ক বজায় রাখা যাতে করে যখন কোন চ্যালেঞ্জ অথবা ঝুঁকি থাকলে তখন সবাই যেন একসাথে মিলে কাজ করতে পারে এবং সমস্যার সমাধান করতে পারেন একইভাবে কোন সুযোগ যদি থাকে সেটির সদ্ব্যবহার করতে পারে ।
কোন মন্তব্য নেই